টুইড বাংলাদেশের কার্যক্রম
১. নাম: টুইড বাংলাদেশ যা “ট্রাষ্ট ফর দ্য ওয়েলফেয়ার অব দ্য ইন্টেলেকচুয়ালী ডিসএবল্ড- Trust for the Welfare of the Intellectually Disabled, Bangladesh নামে পরিচিত।
২. প্রতিষ্ঠাকাল: ১৯৯৪ সালে সুইড এর উদ্যোগে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন নিবন্ধন অধিদপ্তরের আওতায় তেজগাঁও সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস কর্তৃক ৩০/০৩/১৯৯৪ তারিখে নিবন্ধনকৃত। এতে সুইড এর প্রতিনিধি আছে। টুইড এর গঠনতন্ত্রে বর্ণিত বিধান মোতাবেক সুইড বাংলাদেশের নির্দেশনায় পরিচালিত হচ্ছে।
৩. লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
· মা-বাবা অথবা অভিভাবকদের অবর্তমানে অসহায়, নিরাপত্তাহীন, অর্থ-সম্পদ ও অধিকার থেকে বঞ্চিত সকল বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী এবং এনডিডি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিশ্চিত অধিকার এবং সুরক্ষিত জীবন প্রদান করাই টুইড’র মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য;
· বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্যে রেসিডেন্সিয়াল হোম, হোস্টেল, এমপ্লয়মেন্ট ইউনিট, শেল্টার্ড ওয়ার্কশপ ও অকুপেশনাল সেন্টার উপযুক্ত ক্ষেত্রে স্থাপন করলে সেই কাজে সহযোগিতা;
· সরকারী, আধা সরকারী, সায়ত্ত্বশাসিত, স্বশাসিত, গণ প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, ব্যক্তিগত এবং কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের কল্যানে কাজ করার নিমিত্তে সাহায্য সহযোগিতা ও সমর্থন আদায়;
· বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাতাপিতা, অভিভাবক যাহারা এই ট্রাস্টের সদস্য তাদের সাথে অন্য আরো বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্বারা গৃহীত এবং পরিচালিত বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় যতোপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ।
৪. কার্যাবলী:
· শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং পরবর্তী সময়ে অথবা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের পুনর্বাসনের নিমিত্ত এ সংগঠনটি সুইড বাংলাদেশের সহযোগী সংস্থা হিসেবে কাজ করবে।
· এনডিডি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ছেলে-মেয়েদের প্রতিদিনের জীবন গঠনের প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সামাজিকীকরণ কর্মকান্ড বাস্তবায়ন;
· আত্মনির্ভশীল হয়ে জীবন-যাত্রা এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে বিশেষ শিক্ষা প্রশিক্ষণ গ্রহণ;
· বিশেষ শিক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কর্মসূচীর মাধ্যমে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সুবিধা অর্জন;
৫. বর্তমানে টুইড বাংলাদেশের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৪ জন।
৬. বর্তমানে টুইড বাংলাদেশের মোট কর্মচারীর সংখ্যা ৭ জন।