সুইড ল্যাবরেটরী মডেল স্কুলের কার্যক্রম
১. নাম: সুইড ল্যাবরেটরী মডেল স্কুল।
২. প্রতিষ্ঠাকাল: সুইড বিশেষ শিক্ষা প্রশিক্ষণ কলেজের শিক্ষার্থীদের Practice teaching কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২০০৯ সালে সুইড ল্যাবরেটরী মডেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩. সুইড ল্যাবরেটরী মডেল স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
· এনডিডি সমস্যাগ্রস্থসহ শিক্ষার্থীদের ¯ Practice Teaching স্নায়বিক সমস্যা জনিত কারণে সৃষ্ট অন্যান্য মানসিক ও বুদ্ধি বৃত্তিক প্রতিবন্ধীদের সার্বিক কল্যাণের জন্য পরিচর্যা, শিক্ষা ও পুনর্বাসন ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা;
· সার্বিক কল্যাণ, পরিচর্যা, শিক্ষা ও পুনর্বাসন ব্যবস্থার উন্নতি কল্পে প্রয়োজনবোধে অন্যান্য জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা সমূহের সহযোগিতায় উপযুক্ত প্রকল্প গ্রহণ করা;
· পরিচর্যা ও কল্যাণের জন্য তাদের পিতামাতা ও অভিভাবকদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাহায্য করা;
· বিশেষ শিক্ষার মাধ্যমে অন্যান্য শাখা স্কুল, শিক্ষা শ্রেণী, বৃত্তিমূলক শিক্ষাকেন্দ্র, আশ্রয় ভিত্তিক কর্মশালা, চাকুরী প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, হোস্টেল, আবাসিক গৃহ, ক্লিনিক, পুনর্বাসনকেন্দ্র এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদানকারী ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা;
· জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, স্কাউট ও স্পেশাল অলিম্পিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরিচালনা করা।
সুযোগের সমতা ও পূর্ণ অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নাগরিক ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ;
৪. স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি:
সুইড ল্যাবরেটরী মডেল স্কুলের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩(তিন)বছর মেয়াদে ১৩ (তের) সদস্য বিশিষ্ট একটি ব্যবস্থাপনা কমিটির উপর বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব ন্যস্ত আছে। সুইড বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মাধ্যমে সার্বিক পরীবক্ষিন, পর্যবেক্ষণ ও তদারকীর কাজ করা হয়
৫. সুইড ল্যাবরেটরী মডেল স্কুল পরিচালিত বিশেষ শিক্ষার স্তরবিন্যাস এবং কার্যক্রম:
সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার মত বিশেষ শিক্ষায়ও ছাত্রছাত্রীদেও প্রকৃত বয়স ও মানসিক বয়স অনুসারে শিক্ষার স্তর নির্ধারন করা হয়ে থাকে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রকৃত বয়স ও মানসিক বয়সের মধ্যে পার্থক্য থাকার কারনে তাদের জন্য শিক্ষার সুনির্দিষ্ট স্তর অনুসরন করা খুব কঠিন। তবুও তাদের শিখন ক্ষমতার প্রতি সচেতন দৃষ্টি রেখে সুইড বাংলাদেশ পরিচালিত বিশেষ স্কুলে ব্যবহ্রত শিক্ষার স্তরগুলো এব শিক্ষার্থীদের প্রকৃত বয়স নিচে উল্লেখ করা হলঃ
শিক্ষার স্তর শ্রেণীর নাম বয়স
১. প্রস্তুতিমূলক স্তর (Preparatory Work) মা ও শিশু শ্রেনী ০-৬+
২. প্রাক-প্রাথমিক স্তর (Pre-Primery) শিশু শ্রেনী ৬-১১+
৩. প্রাথমিক স্তর (Primery) বিশেষ শিক্ষা শ্রেনী ১২-১৫+
৪. বৃত্ত্বিমূলক স্তর (Vocational) বৃত্ত্বিমূলক প্রশিক্ষণ শ্রেনী ১৬+
৫. এ্যাকটিভিটি সেন্টার (Activity Centre) এ্যাকটিভিটি সেন্টার বিশেষ বিবেচনায়
৬. আত্ম নির্ভরশীল করে তোলা অর্থাৎ Self-Development
· প্রাক কর্মসংস্থান দক্ষতার উন্নয়নকল্পে যথোপুযুক্ত ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ প্রদান করে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াশ।
· প্রতিবন্ধীতার মাত্রা এবং যোগ্যতার ভিত্ত্বিতে প্রতিটি স্তরে শিক্ষার্থীর বয়স কিছুটা শিথিল করা যেতে পারে।
· প্রকৃতপক্ষে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েদের সনাক্ত করে যত তাড়াতাড়ি তাদের শিক্ষার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া যাবে শিক্ষার মাধ্যমে তাদের আন্ত নির্ভরশীল করে পুনর্বাসনের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করা যাবে।
৭. সুইড ল্যাবরেটরী মডেল স্কুলের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা- ১৭০ জন।
৮. সুইড ল্যাবরেটরী মডেল স্কুলের মোট শিক্ষকের সংখ্যা - ২৫ জন।